মাওলানা কাজিম আলী সাহেব একজন মুবাল্লিগ ও আলহুজ্জাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
বিশেষ সাক্ষাত্কার
আসসালামু আলাইকুম মাওলানা সাহেব।
বর্তমানে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে শত্রুপক্ষ আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আপনি কী মনে করেন, এর পেছনে শত্রুর প্রকৃত উদ্দেশ্য কী?
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
এই ধরনের গুজব বা খবর নতুন নয়। ইতিহাস সাক্ষী, যখনই কোনো নেতৃত্ব ইসলাম ও ইনসাফের প্রতিনিধিত্ব করেছে, শত্রুপক্ষ তাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেনি (হা.) কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি মুসলিম উম্মাহর একটি আদর্শিক বাতিঘর। তাঁর চিন্তাধারা, নেতৃত্ব এবং বিশ্ব জুড়ে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন — এসবই শত্রুপক্ষের চোখে কাঁটা।
আপনি বললেন "চিন্তাধারা", একটু বিস্তারিত বলবেন?
নিশ্চয়ই। তিনি এমন একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করেছেন যা আমেরিকা ও ইসরায়েলের মতো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির জন্য হুমকি। তিনি বারবার বলেছেন যে মুসলিম বিশ্বের স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা অর্জনের একমাত্র পথ হলো ঐক্য, আত্মত্যাগ ও ইসলামি মূল্যবোধে দৃঢ় থাকা। এই দৃষ্টিভঙ্গি শত্রুদের স্বার্থের পরিপন্থী।
তাহলে কি এটা বলা যায়, শত্রুদের লক্ষ্য শুধু একজন মানুষকে হত্যা করা নয়, বরং একটা আদর্শকেই নিঃশেষ করার চেষ্টা?
ঠিক তাই। তারা জানে, খামেনি হলেন একটি আদর্শের ধারক ও বাহক। তাঁর মৃত্যু মানে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, এবং প্রতিরোধের পথ রুদ্ধ করা। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে—এই বিপ্লব কেবল একজন ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়, এটা মানুষের চেতনায় গাঁথা।
আপনি কী মনে করেন, মুসলিম বিশ্ব কিভাবে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারে?
সচেতনতা ও ঐক্য—এই দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দরকার প্রকৃত তথ্য, দৃঢ় মনোবল, এবং ইসলামি নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখা। যারা শত্রুদের হাতিয়ার হয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাদের থেকে সাবধান থাকা আবশ্যক।
ধন্যবাদ, মাওলানা সাহেব, এমন স্পষ্ট ও গভীর বিশ্লেষণের জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ, এবং আমি দোয়া করি যেন আমরা সকলেই সত্যের পথে অবিচল থাকতে পারি।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মজিদুল ইসলাম শাহ
আপনার কমেন্ট